তারিক মোঃ মোরশেদ (নাসিম): ভূমিকা: অনেকদিন থেকে মনে উঁকিঝুকি দিচ্ছে বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করার কিছু অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য কি পন্থা অবলম্বন করা যায়- অবশেষে বই লিখাকে বেছে নিলাম। এর পিছনে একটি কারণ আছে অনেক কাছের বন্ধু এবং নিকট আত্মীয় ব্যবসা শুরু করতে চান কিন্তু এ বিষয়ে জ্ঞান নেই বিধায় ব্যবসায় নামতে নারাজ। ব্যবসা করার জন্য ইসলামে তাগিদ দেওয়া হয়েছে কারণ এতে ব্যক্তির সম্পদ সৃষ্টি হয় আর সম্পদ সৃষ্টির এই পথে নামার সাথে সাথে চাকুরির সুযোগ সৃষ্টি হয়। সমাজের কল্যাণ সাধিত হয় এবং রাষ্ট্রের আয় বৃদ্ধি পায়। যেমন ধরা যাক একজন ব্যক্তি পাড়া মহল্লাতে একটি দোকান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। প্রথমে দোকান নিল, স্বাভাবিক নিয়মে একটি নাম দোকানের জন্য নির্ধারণ করবে এবং তা লিখার জন্য আর্টিষ্ট বা বর্তমানে কম্পিউটার এ প্যানা প্রিন্টিং এর মাধ্যমে এই কাজ সম্পন্ন করতে পারে। দ্বিতীয় কিছু আসবাব পত্র তৈরি করে নিতে হবে এতে সমাজের আর একটি গ্র“প পয়সা পাবে। তৃতীয় যোগাযোগ জন্য ল্যান্ড ফোন বা মোবাইল নম্বর ব্যবহারের মাধ্যমে আরও একটি গ্র“প পয়সা পেল। চতুর্থ ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন সার্টিফিকেট যোগাড় করতে গিয়ে সরকারকে অর্থ প্রদান করতে হলো। পঞ্চমত একা দোকানদারী করা যায় না, কর্মী নিয়োগ করতে হবে আর তাতে কাহারও কর্মসংস্থান হয়ে গেল। অবশেষে মাল তুলতে গিয়ে বহু কোম্পানীকে অর্থ প্রদান করছে। তাছাড়া আরও অনেক কল্যাণ এই ব্যবসা থেকে সাধিত হয়। অতএব ইহা অত্যান্ত সম্মানী পেশা, এই জন্য সৎ ব্যবসায়ীদের হাশরের দিন/ শেষ বিচারের দিন স্থান হবে সিদ্দীকিনদের কাতারে। সিদ্দীকিন ইসলামে অনেক বড় জায়গা। আমরা সচেতন হলে এই জায়গায় পৌছাতে পারি, যেমন- সঠিক পণ্য প্রদান, ভেজাল না মেশানো, ওজন সঠিক দেওয়া এবং সর্বপরি লক্ষ্য থাকবে ক্রেতাকে ঠকানোর উদ্দেশ্যে যাতে কোন কর্ম না করা হয়।
এতক্ষন ব্যবসার গুরুত্ব সম্পর্কে খানিকটা আলোচনা করলাম, এবার মূল বিষয়ের দিকে যাওয়া যাক। ——- (চলবে———-)
![](https://www.bdnasim.com/wp-content/uploads/2020/07/Capture-1.png)