ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্প

প্রথমে বাংলাদেশে ব্যবসা কিভাবে সফল ভাবে করা যায় এবং কি ব্যবসা করবো? কি ভাবে শুরু করবো? এই প্রশ্নগুলো এসে যায় এবং কিভাবে এই প্রশ্নের মোকাবিলা করতে হবে? ব্যবসা শব্দটি ব্যাপক বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনার প্রথমেই ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্প স্থাপণ ও ব্যবস্থাপণা নিয়ে আলোচনা করছি।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প স্থাপনের পরিকল্পনাকারীকে পছন্দসই পণ্যের বাজার (চাহিদা) শুরুতে নির্ণয় করতে হবে। বাংলাদেশে বর্তমানে কি পরিমাণ শিল্প আপনার পছন্দসই আইটেম উৎপাদনে নিয়োজিত, চাহিদার তুলনায় যোগান বেশি না কম তা নির্ণয় করতে হবে। এ ছাড়া বিদেশ থেকে বা চোরাচালান হয়ে কি পরিমান পণ্য বাজারে আসে তা ধারণা করে নিতে হবে এবং দোকানের ঝযবষভ (তাকে) মাল দেখেও চিহ্নিত এবং ধারণা করে নিতে পারবেন। এরপর আপনাকে উৎপাদন ব্যয়, অফসরহংঃৎধঃরড়হ, অপপড়ঁহঃং, ওহপড়সব ঞধী, ইধফ উবনঃ বা অন্যান্য খরচাদি বিবেচনায় এনে ঈড়ংঃ নির্ধারণ করে দেখতে হবে এবং অন্ততপক্ষে ১০-১৫% নীট চৎড়ভরঃ না থাকলে ঐ ওঃবস ও ব্যবসায় নামা উচিৎ হবে না।
আপনার হিসাব মিলে গেলে আপনাকে উৎপাদনে যেতে একটি যুক্তিসঙ্গত সময় নির্ণয় করে নিতে হবে যেমন- ঋধপঃড়ৎু চৎবসরংবং এর জন্য জমি ও ঘর নির্মাণ বা ভাড়ায় ঘরের ব্যবস্থা করা, ইন্ডাষ্টিয়াল বৈদ্যুতিক লাইন, গ্যাস ও পানির সংযোগ আনয়ন এবং যেখানে শিল্প করতে চান ঐখানে বিদ্যুৎ আরষধনষব কিনা, এধং এর ঢ়ৎবংংঁৎব কেমন এবং পানির ছঁধষরঃু কেমন পূর্বেই এইগুলো দেখে নিবেন। ঋধপঃড়ৎু চৎবসরংবং এ গাড়ি ঢুকে মাল খড়ধফ এবং ঁহষড়ধফ করতে পারবে কিনা, আশে পাশের এরিয়া জবংরফবহঃরধষ না আরও শিল্প আছে কোন ড়নলবপঃরড়হ আসবে নাকি, শিল্পের বর্জ ব্যবস্থাপনা কিভাবে হবে? এইসকল বিষয় খুঁটে খুঁটে দেখবেন। যদি সব ঠিক ঠাক থাকে তবে কাজ শুরু করতে পারেন।
প্রথম যদি ক্ষুদ্র শিল্প হয় তা হলে ট্রেড লাইসেন্স আর মাঝারি শিল্প হলে প্রাইভেট লিমিটেড বা লিমিটেড কোম্পানীর চবৎসরংংরড়হ ঔড়রহঃ ঝঃড়পশ কোম্পানী থেকে নিতে হবে। এরপর বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন থেকে চবৎসরংংরড়হ নিতে হবে, বৃহদায়ক শিল্প হলে বোর্ড অব ওহাবংঃসবহঃ থেকে চবৎসরংংরড়হ নিতে হবে। চবৎসরংংরড়হ নিতে গেলে উনারা মেশিনারী, কাঁচামাল, উৎপাদিত দ্রব্য এসবের হিসাব নিবেন তারপর চযুংরপধষষু দেখবেন এরপর চবৎসরংংরড়হ দেবেন। চবৎসরংংরড়হ পাবার পর আপনি ঋরৎব, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিতে হবে এবং ঞওঘ, ঠঅঞ ও আমদানি খরপবহংব করিয়ে নিতে হবে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ে আপনার পণ্যের লেবেল, মোড়ক, বোতল, ব্র্যান্ড এর অস্থায়ী চবৎসরংংরড়হ নিয়ে নিতে হবে।
তৃতীয় পর্যায়ে যদি পণ্যটিতে ইঝঞও এর অনুমোদন আবশ্যিক হয়, তবে অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে।
ইতিমধ্যে আপনার ঋধপঃড়ৎু ইঁরষফরহম ঘরের কাজ শুরু করতে হবে তাতে মেশিনারী বসার জায়গা নির্বাচন, কাঁচামাল, চধপশরহম সামগ্রী, লেবেল ইত্যাদি রাখার জায়গা নির্ধারণ। অবশেষে ফিনিশ প্রোডাক্ট রাখার জায়গা নির্ধারণ এবং সহজে লোডিং এবং আনলোডিং স্থান নির্বাচন এবং ঞৎধহংঢ়ড়ৎঃ কোথায় থাকবে এবং প্রহরী কোথায় থাকবে তা নির্বাচন করে নিতে হবে। যাতে ঋধপঃড়ৎু তে কোন চুরি না হয় তার জন্য যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
চতুর্থ পর্যায়ে মেশিনারী ক্রয় করে বসানোর কাজ শুরু করে দেবেন তবে শুরুতে অনেক সহজ মেশিনারী থাকে যে গুলো আমাদের দেশে তৈরি সম্ভব ঐগুলো দেশ থেকে সংগ্রহ করলে অনেক অর্থ সাশ্রয় হবে।
পঞ্চমত খুব বেশি পরিমাণ বিবেচনায় আনতে হবে যে পণ্য উৎপাদন করতে যাচ্ছেন এর প্রতিযোগী ইৎধহফ এর পণ্যের মান, চধপশরহম, লেবেল ও কাটুন এর সাথে আপনার পণ্য যাতে সমমানের হয় অন্যথায় বাজার ধরা কঠিন হয়ে পড়বে। পণ্যে চধপশরহম এর উবংরমহ, বোতল/ ঝধপযবঃ/ চড়ঁপয চধপশ লেবেল মানসম্পন্ন করা সহজ কাজ নয়, ইহা অতীব জটিল কাজ। তাছাড়া যদি লিকুইড আইটেম হয় তবে পধঢ় এবং খবধশ ঢ়ৎড়ড়ভ কার্য সম্পন্ন করা একটা জটিল কাজ এগুলো যথাযথ ভাবে করে নিতে হবে। এইসব কার্য সহজে সমাধানের জন্য বিদেশের বিভিন্ন বড় ঝঁঢ়বৎ গধৎশবঃ থেকে পছন্দসই পণ্য সংগ্রহ করে তার ষবধশ ঢ়ৎড়ড়ভ ব্যবস্থা; লেবেল ও ঈড়হঃধরহবৎ এর ডিজাইন মাথায় রেখে নিজস্ব সৃজনশীলতা ও রুচিবোধ মিলিয়ে ইৎধহফ/ খড়মড় রহংবৎঃ করে সম্পন্ন করাই উত্তম। চধপশ ংরুব নির্ধারণে বাজারে অনুরূপ পণ্যের সর্বাধিক প্রচলিত প্যাক সাইজকে অনুসরণ করাই শ্রেয়।
শিল্পের কাঁচামাল ক্রয়ে খুবই সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে যদি কাঁচামাল মানসম্পন্ন না হয় কখনই ভাল পণ্য তৈরি করা যাবে না, তাই অত্যন্ত ঞৎঁংঃবফ লোক নিয়োগ করে এবং পৎড়ংং পযবপশ করে পণ্য ক্রয় করবেন এবং ঋধপঃড়ৎু তে কাঁচামাল আসার পর পরীক্ষা করে যথা জায়গায় জবঢ়ড়ৎঃ করতে হবে, পণ্যগুলো যথাযথ আছে অন্যথায় ফেরৎ দিয়ে সঠিক পণ্য আনিয়ে নিবেন।
বাজারের চাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখে উৎপাদন ও প্যাকিং প্রক্রিয়া সাজাবেন। বড় উৎপাদন ক্ষমতা ব্যবস্থা বাজার ধরার আগে সাজালে অলস অর্থ পড়ে থাকবে তাতে প্রতিষ্ঠান দুর্বল হবে।
পণ্য বাজারজাত করণের জন্য আপনার পণ্যের ইৎড়পযঁৎব, চৎরপব ষরংঃ এগুলো ছবি সম্বলিত হলে ক্রেতা ও বিক্রেতার ঙৎফবৎ নেওয়ার সময় অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। চালান ও ঈধংয সবসড় ছাপিয়ে নিতে হবে। সাথে সাথে কিভাবে অপপড়ঁহঃং রক্ষা হবে তার জন্য অভিজ্ঞ একজন পরামর্শক এনে কাজ গুলো করা ভাল অন্যথায় অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে, সাথে সাথে পণ্যের ঈড়ংঃরহম এর কাজ কোন খন্ডকালীন ঊীঢ়বৎঃ লোক নিয়োগ করে করিয়া নিবেন।
পণ্য বিক্রির জন্য যে বিক্রয় কর্মী প্রয়োজন তা সংগ্রহ করতে হবে খুব সতর্কতার সাথে কারণ ছোট এবং মাঝারি শিল্পের মূল শক্তি এই ঝধষবং ঞবধস, এই বাহিনী যদি যথাযথ ভাবে কার্য সম্পাদন না করেন তবে সকল আয়োজন বৃথা।
এদের হাত দিয়ে এই শিল্পের সবার বেতন, ভাতা, বোনাস সর্বপরি উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল, প্যাকিং সামগ্রী, লেবেল ও কাটুন ইত্যাদি সকল কিছু সংগ্রহ করা হবে। উক্ত কর্মী বাহিনী চরিত্রের দিক থেকে উন্নত চরিত্রের হওয়া আবশ্যক। যেমন- আমার প্রথম কর্মী নির্বাচনে ভুল ছিল অনেকে বিভিন্ন জেলায় পালিয়ে বা মামলা মাথায় নিয়ে ঢাকায় এসেছে পালিয়ে বাঁচার জন্য, এমনও পেয়েছি নেশাগ্রস্তছেলে, নেশার টাকা জোগাড় করার জন্য অফিসের সহকর্মীদের মোবাইল, অফিসের ক্যালকুলেটর ইত্যাদি চুরি করে। এমতাবস্থায় আপনার পক্ষে মূল মার্কেটিং এর কাজ বাদ দিয়ে এদের সমস্যাবলী মোকাবিলা করা বড় ঈযধষধহমব হয়ে পড়বে।
আর একটি বড় সমস্যা মার্কেটিং বুঝেন এ ধরনের ম্যানাজারিয়াল যোগ্যতা সম্পন্ন লোক ছোট/ মাঝারি কোম্পানীতে আসে না এবং পত্রিকায় বিজ্ঞাপণ প্রদান করলে আবেদন করেন না। এমতাবস্থায় উদ্যোক্তা/ মালিককে ট্রেনিং দিয়ে এই কার্যের জন্য উপযুক্ত লোক নিয়োগ দিতে হবে। আপনি যদি পত্রিকায় বিজ্ঞাপণ দেন বা ব্যক্তিগত ভাবে যোগাযোগ করে কাউকে এই কাজের জন্য নিযুক্ত করতে চান তবে তার থেকে ওহঃবৎারবি তে- কিভাবে উনি বিক্রয়কর্মীদেরকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেবেন তার পরিকল্পনা শুনতে চাইবেন, লিখিত ১টা পরিকল্পনা চাইবেন তখন বুঝতে পারবেন উনি কতখানি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। উক্ত ব্যক্তির দ্বারা ঝজ দের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রিত হবে এবং পরিচালিত হবে সুতরাং উনাকে খুব নিয়মানুবর্তীতাশীল, ধৈর্যশীল ব্যক্তি হতে হবে। আবার এক্ষেত্রে অনেক সময় সদ্য মাষ্টার্স সম্পন্ন করা ছেলে আসতে চায় তাহারা আসেন অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য এরপর বড় কোম্পানীতে চলে যাবে। একই বিষয় বিক্রয় কর্মীর ক্ষেত্রে যাহাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বেশি তাদেরকে বিক্রয় কর্মী হিসেবে নিয়োগদান করা যাবে না।
উদ্যোক্তাকে এই কাজটি নিজ হাতে দেখে অনেক মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক উন্নীত বা ফেল ছেলেদেরকে নিয়ে ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করতে হবে, ঐ থেকে দেখে দেখে অস্থায়ী নিয়েগ দিবেন এবং ভাল না হলে বাদ দিবেন এবং ওয়েটিং লিষ্ট থেকে ঐ জায়গাগুলো পূরণ করবেন। নিয়োগের সময় অবশ্যই কিছু টাকা জামানত কিংবা গ্যারেন্টর নিয়ে চাকুরি দেবেন, এতে শর্ত থাকবে চলে যাওয়ার পূর্বে তার ব্যবস্থাধীন ক্রেতা সকলকে মেমোসহ হস্তান্তর এবং আর্থিক লেনদেনগুলো পরিষ্কার ভাবে বুঝিয়ে দিয়ে যেতে হবে। উল্লেখ্য একজন ব্যবস্থাপক সর্বোচ্চ ১০-১২ জন ঝজ পরিচালনা করবেন। তখন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন কোন অৎবধ নিয়ে পণ্য বিক্রি শুরু করবেন? তা নির্বাচন করে নিবেন। ঐ নির্বাচিত জায়গা আপনার ঋধপঃড়ৎু থেকে কত দূরে? কোন ডিপো নির্মান প্রয়োজন কিনা? অথবা আপনার ডেলিভারী ঞবধস ঐ অৎবধ ঈড়াবৎ দিতে পারবে? কয়টা চরপশ ঁঢ়/ ঈড়াবৎবফ ঠধহ/ জরপশংযধি ঠধহ/ ঞযৎবব ডযববষবৎ প্রয়োজন? সম্ভাব্য খরচ নির্ণয় করে নেবেন। যেমন- ড্রাইভারের বেতন, গাড়ির রক্ষনাবেক্ষন খরচ, তৈল, মবিল, গ্যাস ইত্যাদি।
উদ্যোক্তা কি ট্রেনিং দিবেন? বিক্রয়কর্মীদের নিয়মানুবর্তিতা, তাদের কর্মের গুরুত্ব, পণ্যের গুণাবলী, দাম এবং প্রতিযোগীদের চেয়ে আপনার পণ্যের ভাল বৈশিষ্ট গুলো এবং বাজারে ঢুকার জন্য প্রতিযোগীর চেয়ে আপনার পণ্যের মূল্য কম হওয়া বাঞ্চণীয়। এই বিষয়গুলে ঞুঢ়ব করে বিক্রয়কর্মীদের মুখস্ত করিয়ে দেবেন এবং পরীক্ষা নেবেন। এরই মধ্যে আপনাকে নির্ধারিত মার্কেটিং অৎবধ-র জড়ধফ গধঢ় গুলো অনুযায়ী আপনি একজন বিক্রয় কর্মীর জন্য দোকান সংখ্যা নির্ণয় করে নেবেন। যেমন- আপনার যদি পণ্য ৫-৭ টি হয় তাহলে একজন বিক্রয়কর্মী ১টি দোকানে ৫-৭ মিনিট ব্যয় করলে যথেষ্ট আর যদি আপনার পণ্য সংখ্যায় আরও বেশি হয় সময় বেশি লাগবে এটাই স্বাভাবিক, লক্ষ্য করবেন ঝয়ঁধৎব এর একজন ঝজ ২০০-২৫০ ঔষধের লিস্ট নিয়ে কাজ করে তার একটি দোকানে ৪০-৪৫ মিনিট ব্যয় করেন এবং তার চেয়ে বেশি সময়ও ব্যয় হয়।
অর্থাৎ আমি বোঝাতে চাচ্ছি বিক্রিত পণ্যের সংখ্যার সাথে সামঞ্জস্য রেখে তার জন্য দৈনন্দিন ভিজিট প্লানে দোকানের সংখ্যা নির্ণয় করতে হবে। এখন প্রশ্ন হলো নতুন পণ্য বাজারে আসলে দোকানদার নিতে চায় না অনেক নেগেটিভ কথা বলবে যেমন- পণ্য ভাল নয়, ঞঠ অফাবৎঃরংব নেই, পণ্যের মূল্য বেশি, পরিমাণ কম এধরনের নানা বিষয়, এ নিয়ে দোকানদারের সাথে বিতর্কে জড়ানো যাবে না। উদ্যোক্তাকে পণ্যের পরিমাণ ও মূল্য বাজারে যে চধপশ প্রতিযোগীদের আছে সমপরিমাণ এবং মূল্য কম নিয়ে আসলে ভাল, অন্যথায় এইটি বুঝাতে বিক্রয়কর্মীদের অনেক বেগ পেতে হবে। ছোট কোম্পানীদের পণ্য ঋৎবব দেওয়াই ভাল যেমন- ১ ডজন ক্রয় করলে ১টা ঋৎবব এরূপ কিন্তু বড় কোম্পানীর মত ঋৎবব মগ/ ঝুড়ি এরূপ চৎড়মৎধসসব না যাওয়াই ভাল কারণ আপনার ঋৎবব মগ/ ঝুড়ি ক্রেতা সাধারণ পর্যন্ত পৌঁছায় না তাই বিক্রি বৃদ্ধি ঘটবে না।
প্রথম বাজারে ঢুকার জন্য বাকী দিতে হবে এবং ১টি গবসড় বাকী গেলে তা বিক্রি হলে এবং টাকা আদায় করে পরবর্তী মাল দেবেন। এইটা ঝজ দের খেয়াল রাখতে হবে। অনেক দোকানে এই গবসড়- র বকেয়া আদায় নিয়ে সমস্যা হবে তা ম্যানেজার সাহেবকে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে সমাধান দিতে হবে। ম্যানেজারের ১টি মোটরবাইক আবশ্যক নতুবা উনি কার্যবলী সুচারুভাবে সম্পাদন করিতে পারবেন না। ম্যানাজারের মূল কাজ হলো সকালে বিক্রয়কর্মীদের হাজিরা নেওয়া এবং তাদের গবসড় বই, বকেয়া গবসড় ঐ দিনের ঞড়ঁৎ চৎড়মৎধসসব, ঝধসঢ়ষব, ইৎড়পযঁৎব ্ চৎরপব খরংঃ ব্যাগে নিয়ে বের হচ্ছে কিনা নিশ্চিত হওয়া, বের হওয়ার পূর্বে ১০ মিনিটের জন্য হলেও ১টাা গড়ঃরারঃরড়হ গববঃরহম করা ইহাতে বিক্রয়কর্মীদের মানসিক দিক দিয়ে ইড়ড়ংঃ ঁঢ় হবে। অবশ্যই প্রত্যহ নতুন দোকান ঠরংরঃ করার উপর তাগিদ দেওয়া, নতুন ১টি ড়ৎফবৎ হলেও যাতে নিয়ে আসে যেমন ১টি ড়ৎফবৎ প্রত্যহ আনলে ৩৩০ কার্যদিবসে ৩৩০টা ড়ৎফবৎ অর্থাৎ পঁংঃড়সবৎ যোগ হচ্ছে। বিক্রয়কর্মীদের পড়হভরৎস অর্ডার নেওয়া এবং ঢ়ধুসবহঃ ৎবধফু রাখার জন্য দোকানদারকে তাগিদ দেওয়ার উপর জোর দিতে হবে, বিষয়গুলো গড়ঃরাধঃব করে বুঝাতে হবে অন্যথায় রাগারাগি করে লাভ হবে না কারণ বিষয়টি উপলব্ধি করলে সে মাঠে কাজ করবে। আপনি যে বিক্রয়কর্মী নিয়োগ দিয়েছেন তাদের শিক্ষা দীক্ষা খুব একটা বেশি নয় তাই তাদের ঞৎধরহরহম এবং গড়ঃরাধঃরড়হ জন্য প্রচুর শ্রম ম্যানেজারকে দিতে হবে। বিক্রয়কর্মীদের বকেয়ার খরংঃ বা নতুন দোকান ঠরংরঃ এইগুলো জবধফু করে হাতে ধরিয়ে দিতে হবে সকাল বেলায় ১০-১৫ মিনিটের গববঃরহম এ। অযথা রাগ করে ঞবধস ভাঙ্গা যাবে না বরং ঞবধস এর মধ্যে প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করতে হবে। বিক্রয়কর্মীদেরকে অবশ্যই প্রতি মাসে ঝধষবং ঞধৎমবঃ দিতে হবে এবং ঐরমযবৎ ঝধষবং ঞধৎমবঃ অপযবরাব করলে পড়সসরংংরড়হ বাড়িয়ে দেন, যাতে ঐ ঞধৎমবঃ ধরার জন্য ওদের লোভ হয়।
এখানে একটা বিষয় খেয়াল করেছেন কিনা বকেয়ার তথ্য, কোন রঃবস ংষড়,ি ঋধংঃ কিংবা কোন রঃবস এ লাভ বেশি, কোথায় খরচ বেশি হচ্ছে অফসরহ ্ উরংঃৎরনঁঃরড়হ এ সকল বিষয়ের তথ্য মূলত: অপপড়ঁহঃং সরবরাহ করে থাকে, প্রতিদিনের ঝধষবং ও পড়ষষবপঃরড়হ ঢ়ড়ংরঃরড়হ এবং মাসের বকেয়া উক্ত মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে বিক্রয়কর্মী এবং উবষরাবৎু ঞবধস মিলে সম্পন্ন করতে হবে। ইহা অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় এবং উবষরাবৎু ঞবধস কে মাল যাহাতে ফেরৎ না আনে এবং সকল ডেলিভারীর বিনিময়ে টাকা পড়ষষবপঃরড়হ যাহাতে বাকি না থাকে এর জন্য গড়ঃরাধঃরড়হ গববঃরহম ১৫ দিনে একবার হলেও অনুষ্ঠিত হতে হবে।
এবার উদ্যোক্তাকে প্রশাসন সাজাতে হবে এমন ভাবে, যে ম্যানেজারদের জবাব দিহিতা এবং অপপড়ঁহঃং এর লাভ লোকসান প্রতিমাসে ও ঢ়যুংরপধষ ংঃড়পশ ঢ়ড়ংরঃরড়হ ২ মাস অন্তর জবঢ়ড়ৎঃ আকারে উদ্যোক্তার নিকট আসতে হবে।
এই কাজগুলো সুচারুরূপে করতে হলে দক্ষ অপপড়ঁহঃং থাকতে হবে, অর্থাৎ প্রত্যেক ঝজ এর চধৎঃু-র খতিয়ান এবং ঞড়ঃধষ ঝধষবং, ঈড়ষষবপঃরড়হ এবং বকেয়া যথাযথভাবে রক্ষা করতে হবে। চযুংরপধষ ংঃড়পশ ঋধপঃড়ৎু ও ডিপোতে নির্ণয় করে অপপড়ঁহঃং জবঢ়ড়ৎঃ আকারে দিতে হবে, ঋধপঃড়ৎু অফিস, ডিপো পরিচালনা করতে কাঁচামালের হিসাব এবং প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমান, বেতন ভাতাদি, ঈদের বোনাস ঝসড়ড়ঃযষু প্রদান করা যায় তার হিসাব নখ দর্পনে থাকতে হবে। ব্যাংকে ঝধষবং টাকা বা যে কোন আয় জমা হলে তা মুড়ি বা উবঢ়ড়ংরঃ ঝষরঢ় উল্টো দিকে উক্ত ব্যক্তির স্বাক্ষর ও তারিখ দিয়ে সম্পন্ন করবেন, অনেক সময় টাকা জমা না করে ব্যাংকের জালসীল দিয়ে প্রতিষ্ঠানকে বোকা বানানো হয়। মাসিক অবশ্যই ইধহশ এর উবঢ়ড়ংরঃ ফৎধরিহম ৎবপড়হপরষরধঃরড়হ করে ৎবঢ়ড়ৎঃ এ উল্লেখ করবেন।
উপরোক্ত বিষয়ে একটি বড় প্রশ্ন কিভাবে আপনি আপনার ঝধষবং এবং উবষরাবৎু ঞবধস কে কোথায় কজ করছে তা জানবেন? প্রত্যেক ঝজ ও উবষরাবৎু ঃবধস এর সদস্যকে গড়নরষব ঝরস কোম্পানী থেকে দেবেন এবং যোগাযোগের জন্য ১টা গড়নরষব কোম্পানী থেকে দেবেন, গড়নরষব কোম্পানী থেকে ১টা গধহ খড়পধঃরহম বা ঝঁঢ়বৎারংরহম ঝড়ভঃধিৎব নিয়ে নেবেন যাতে অফিস সকাল ১০:৩০ – ১১টা মধ্যে তাদের অবস্থান নির্ণয় করতে পারেন এবং ২:৩০ – ৩ মধ্যে আবার অবস্থান নির্ণয় করতে পারেন। ঝজ ংঃধৎরহম ঢ়ড়রহঃ থেকে কার্য শেষ করে খধংঃ দোকানে গিয়ে ম্যানেজারকে কিংবা তার ঈড়হঃৎড়ষরহম ইড়ংং কে রিং দেবে এরূপ বিষয় গধৎশবঃরহম এ ঞধম করে দেবেন। এই গড়হরঃড়ৎরহম ব্যবস্থা সারা বাংলাদেশ সম্ভব।
উদ্যোক্তা নিজে বা উনার পক্ষে বৈকাল বা সন্ধ্যায় প্রত্যেক ম্যানেজার তার উধরৎু তে প্রত্যহঝধষবং, পড়ষষবপঃরড়হ পুরানো বকেয়া পড়ষষবপঃরড়হ, সম্ভাব্য ভাল পঁংঃড়সবৎ যাহা ঝজ গধহধমব করতে পারে নাই তাহা ম্যানেজারের ওহাড়ষাব হওয়ার জন্য নোট করে নেবেন এবং যে বকেয়া নিয়ে গরংঁহফবৎংঃধহফরহম হয়েছে ঐ ক্রেতাকে বুঝানোর জন্য কাজগুলো লিপিবদ্ধ করে নিয়ে আসবে এবং উদ্যোক্তা বা উনার পক্ষের লোকের স্বাক্ষর প্রত্যহ ঈষড়ংরহম এ নিতে হবে। তাহাছাড়া অপপড়ঁহঃং ও ম্যানেজার বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহে ১ দিন, গববঃরহম সেই দিন ঋধপঃড়ৎু উৎপাদনের সাথে জড়িত লোক এবং ছঁধষরঃু পড়হঃৎড়ষ কে নিয়ে গববঃরহম তাদের সমস্যা শুনবেন এবং কাঁচামালের কোন অভাব আছে কিনা তা জানবেন, তবে আমদানীকৃত মালামাল ৩ মাস আগে আনার চৎবঢ়ধৎঃরড়হ নিবেন। প্রতি ৩ মাসের কাঁচামাল এক সাথে আনবেন।
প্রতিযোগীরা পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করলে ঐ সুযোগে ছোট শিল্পের মালের মূল্য বৃদ্ধি ক্রেতার মেনে নেয়। অতএব কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি বা বিদ্যুৎ, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি হলে পণ্যের দাম বাজারে বৃদিধ পায়। এ বিষয়ের রহভড়ৎসধঃরড়হ দেওয়ার দায়িত্ব ম্যানেজারের। উদ্যোক্তা প্রতি ৬ মাস অন্তর পণ্যের পড়ংঃরহম পর্যালোচনা করে দেখবেন অর্থাৎ উৎপাদন খরচের কোন পরিবর্তন হচ্ছে কিনা? এই তথ্য অপপড়ঁহঃং দিবে। প্রত্যেক ঋধপঃড়ৎু তে কাঁচামাল কে পড়ফরহম ংুংঃবস নিয়ে গেলে গোপনীয়তা রক্ষা হয়।
এবার পণ্যের পরিচিতির জন্য প্রচারে যেতে হবে, সস্তার এবং ঊভভবপঃরাব প্রচারের মধ্যে প্রচুর মেলা করা, ঈঘএ ও বাস ঝঃরপশবৎ এবং দেয়াল লিখা এছাড়া সস্তার অফাবৎঃরংবসবহঃ এর মধ্যে মেলা উপলক্ষে রাস্তায় বা প্রবেশ পথে পোষ্টার, গাছে ইড়ী ঝুলানো, দোকানের সামনে ঝরমহ ইড়ধৎফ করে দেওয়াও ভাল ঊভভবপঃরাব বিজ্ঞাপন। রমজান মাস সহ ২ ঈদে ঞঠ অফাবৎঃরংবসবহঃ এ যেতে পারেন।
পরিকল্পনার শুরুতে সব হিসাব কষে ইৎবধশ ঊাধহ চড়রহঃ নির্ণয় করে নেবেন ঐ ঝধষবং এর জন্য দ্রুত চষধহরহম করবেন। বাজার দেশীয়, বিদেশে সরবরাহ, সরকারী বা প্রাইভেটে কিংবা অন্য কোন চলতি শিল্পকে বা আগ্রহী ব্যক্তিকে ইঁষশ এ মাল বিক্রি করা অর্থাৎ প্রথম অবস্থায় নানাবিধ ঝধষবং এবং বভভবপঃরাব চষধহ করতে হবে। তবে বাংলাদেশে ৩-৪ বছর ইৎবধশ ঊাধহ এ যেতে লাগবে এবং এভাবে ঈধঢ়রঃধষ ওহাড়ষাবসবহঃ হিসাব করে নেবেন এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থের জন্য আবেদন করতে পারেন, শুরুতে লোন কম নেওয়া ভাল। একটি চরষড়ঃ অৎবধ নিজের পয়সায় মার্কেটিং করে অভিজ্ঞতা নিয়ে এগুতে পারেন।
শিল্প ব্যবস্থাপনার যে প্রক্রিয়া সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যক্ত করিলাম ইহা পড়ার পর খুব কঠিন কিছু কাহারও কাছে মনে হবে না বাস্তবে এই কাজগুলো চরিত্রে ধারণ করা একেবারে সহজ নয়। বিষয়গুলো চরিত্রে ধারণ করে দৈনন্দিন প্রয়োগ করুণ তাহলে কিছু উপকার পাবেন এবং অপনার নিজস্ব সৃজনশীলতা এর সাথে যোগ করে প্রয়োগ করুণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *